শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৫ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক : বরিশালে ব্যাটারি চালিত রিক্সা চলাচলের দাবী মেনে নেয়ায় অনশন তুলে নিয়েছে রিক্সা মালিক শ্রমিকরা। তবে বরিশাল নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক গুলোতে চলাচলের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে শহরের অন্যান্য সড়কে চলাচলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে তাদের নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক বাদে অন্যান্য সড়কে চলাচলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নাসরিন নামক এক শিশু বলেন, আমার বাবা চুরি করেননি, ঘুষ খাননি, তিনি রিক্সা চালিয়ে আমাকে স্কুলে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। আবারো তাকে রিক্সা চালানো সুযোগ দেয়ায় আমরা খুশি।
ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) জেলা সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী বলেন, নাগরিক সমাজের একটি প্রতিনিধি দল বিকেলে মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) মো. খায়রুল আলমের সঙ্গে দেখা করেন। পুলিশ প্রশাসন নগরীর প্রধান সড়ক এড়িয়ে অন্যান্য সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের অনুমতি দেন। একই সঙ্গে এর আগে জব্দ করা রিকশার ব্যাটারি ও মোটর ফেরত দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। আশ্বাসের ভিত্তিতে সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমরণ অনশন ভাঙেন রিকশা শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খাইরুল আলম বলেন, মানবিক দিক বিবেচনা করে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক বাদে অন্যান্য সড়কে চলাচলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পরবর্তিতে রিক্সা শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে পর্যায়ক্রমে ব্যাটারি চালিত রিক্সা বন্ধ করা হবে।
উল্লেখ্য, পুলিশের হাতে জব্দকৃত ২ কোটি টাকা মূল্যের ব্যাটারী ও মটর রিক্সা শ্রমিকদের ফিরিয়ে দেয়া, বিকল্প কর্মসংস্থান ছাড়া ব্যাটারী চালিত রিক্সা উচ্ছেদ বন্ধ এবং প্রয়োজনীয় নীতিমালা করে নগরীতে ব্যাটারী চালিত রিক্সা চলাচলের দাবীতে বরিশালে রিক্সা শ্রমিকরা বুধবার সকাল ১০টা থেকে টাউন হলের সামনে আমরন অনশন শুরু করেছে। গত ১৯ আগষ্ট থেকে নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিক্সা চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে মেট্রোপলিটন পুলিশ। এছাড়া ১অক্টোবর থেকে নগরীরর বেশীরভাগ এলাকায় ইজিবাকি চলাচলও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ইজিবাইক-এর লাইসেন্স সিটি সিমি তওে নগরবাসীর দূর্ভোগ বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছিলো।